শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
মহদীপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন বিএনপি নেতা আজাদুল ইসলাম কালিগঞ্জে ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক যশোরে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা -খুলনা ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর সিনেমা করব না এটা কখনোই বলিনি: কেয়া পায়েল আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল আ. লীগের রাজনীতি করার বিষয়ে যে মন্তব্য করলেন নাহিদ ইসলাম যুক্তরাজ্যে ঢুকলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, হাসনাত লিখলেন ‘ঈদ মোবারক’

সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এর আগে আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গেজেটও জারি হয়েছে।’

এর কিছু সময় পরই ঈদ মোবারক জানিয়ে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এই আল্টিমেটামে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছিলেন— যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত ওই সমাবেশে তিনি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা আর আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চায় না। হয় আপনি পদত্যাগ করুন না হলে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো পালাতে বাধ্য করাবে। ছাত্র-জনতার এই স্পিরিট নতুন বাংলাদেশ গঠনের আগ পর্যন্ত থাকবে। ৭২ এর ফ্যাসিবাদী সংবিধান বাতিল করে সংবিধান নতুন সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।

খবরটি শেয়ার করুন